লুণ্ঠিত আরাকানে রোহিঙ্গা জাতির আর্তনাদ
‘লুণ্ঠিত আরাকানে রোহিঙ্গা জাতির আর্তনাদ’ এটি আমার গবেষণা গ্রন্থের একটি। গ্রন্থটির কাজ শুরু করেছিলাম ২০০১ সাল থেকে । ২০০৮ সালে গ্রন্থটি প্রকাশের কথা ছিল। তবে এই নামে নয়। প্রায় দেড় হাজার পৃষ্ঠার গ্রন্থটির নামকরণ করেছিলাম ‘হাজার বছরের চট্টগ্রাম-আরাকান’। আর্থিক সমস্যার কারণে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়জন বিত্তবান মানুষ গ্রন্থটি প্রকাশ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তারা সরে দাড়ালেন। গ্রন্থটিতে আছেচট্টগ্রাম-আরাকানের জনবসতি, রাজনীতি, সামাজিকতাসহ নানা বিষয় নিয়ে এক হাজার বছরের ইতিহাস। এই গ্রন্থের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য একাধিকবার আরাকানে যেতে হয়েছে আমাকে। সেখানে নানা সমস্যার সম্মুখিনও হয়েছি। কিন্তু গ্রন্থটি প্রকাশের মুখোমখি এসে অর্থাভাবে প্রকাশ করতে পারলাম না। অনেকে কথা দিয়ে কথাও রাখলেন না। এই মুহুর্তে আরাকানে চলছে রোহিঙ্গা জাতির আর্তনাদ। তাই আর বসে থাকতে পারছিনা। যাদের জন্য গ্রন্থটি লেখা তাদের এই দুসময়ে আর নীরব থা্কা যায় না। দেড় হাজার পৃষ্ঠার গ্রন্থটি সারসংক্ষেপ করে মাত্র ২০০ পৃষ্ঠায় ‘লুণ্ঠিত আরাকানে রোহিঙ্গা জাতির আর্তনাদ’ নামকরণ করে খুব দ্রুত পাঠকের হাতে পেৌছে দেয়ার প্রচেষ্ঠায় আছি। গ্রন্থটি পাঠে একজন পাঠকের জানা সম্ভব হবে রোহিঙ্গারা কারা? আরাকান রাজ্যটি কোথায়? বিশ্বের মানচিত্রে এই রাজ্যটি এখন আর নেই। ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে
বার্মার রাজা বোধপায়া এই রাজ্যটি দখল করে নেয়ার পর থেকে আরাকান অধিবাসী রাখাইন, মার্মা, রোহিঙ্গা, চাকমাসহ প্রায় ১৫টি জাতিগোষ্ঠী বার্মিজদের অত্যাচারে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে চলে আসে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রামে ।বর্তমানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে তারা স্থায়ী হয়ে আছে। বাকী যারা আছে তারা নির্যাতিত হতে হতে ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চট্টগ্রামে আসা অব্যাহত রয়েছে। বার্মিজরা তাদেরকে বলছে বাঙালি। কথাটি মোটেই সত্যি নয়। তারা আরাকানী রোহিঙ্গা। গ্রন্থটি পাঠে জানা যাবে অনেক পেছনের ইতিহাস…
৳ 350
Reviews
There are no reviews yet.